অনলাইন ডেস্কঃ
চলন্ত ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়া মা-মেয়ের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি প্রতারক ফুলমিয়ার। সচেতন এক যাত্রী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তার নিজের কাছে থাকা জুস পান করালে নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ফুল মিয়া।
অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়া (৪৫) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের ’ঝ’ বগিতে শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে ট্রেনে ওঠেন কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)। তারা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই ইউনিয়নের দক্ষিণ মালঞ্চ গ্রামের বাসিন্দা। তাদের পাশের সিটেই ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়া। আলাপচারিতার একপর্যায়ে ফুল মিয়া মা-মেয়েকে জুস পান করান। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের গয়না খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় পাশের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ফুল মিয়াকে।
প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও যাত্রীরা ফুল মিয়ার কাছে থাকা জুস পান করাতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশকে খবর দিলে ফুল মিয়াকে ভুক্তভোগী দুই নারীসহ সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী জানিয়েছেন, কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন। ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এম কন্ঠ/এস