স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের অবস্থিত একটি গভীর নলকূপের পাইপ গোপনে টেন্ডার ছাড়াই তুলে বিক্রি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জিল্লুর রহমান।
এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক দাপটের কারণে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়ামের পূর্ব পাশে পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যে জায়গাটিতে লাইব্রেরির কাজ চলছে সেখানে পরিত্যাক্ত তিনটি ঘর ছিল। তারমধ্যে একটি ঘরের ভিতর ছিল একটি অকেজো গভীর নলকূপ। ৮০/৯০ দশকের দিকে পুরো উপজেলা চত্বরে পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হয়েছিল।
সম্প্রতি লাইব্রেরি স্থাপন কাজ শুরু হলে সেখানে থাকা গভীর নলকূপের পাইপগুলো তড়িঘড়ি করে টেন্ডার ছাড়াই তুলে বিক্রি করে দেন ইউএনও। সৈয়দপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ির কাছে ৯০ হাজার টাকায় সেগুলো বিক্রি করেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, পাইপগুলো তোলার জন্য বগুড়া হতে মেকানিক নিয়ে আসা হয়েছিল। এই কাজে সহযোগিতা করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের মেকানিক শহিদুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে তারাগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মরত। মেকানিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি পাইপগুলো তোলার জন্য মেকানিক ঠিক করে দিয়েছিলাম। আরকিছু জানিনা।
বিক্রয়কৃত টাকা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়নি বলে জানা গেছে।
একাধীকবার যোগাযোগ করা হলেও পাইপগুলো ক্রয়কারী সৈয়দপুরের ওই ব্যবসায়ির পরিচয় সম্পর্কে ইউএনও কার্যালয় কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি। তার মোবাইল নম্বর পেলেও তিনি নাম প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, আমার কাছে পাইপগুলো তারা বিক্রি করেছে। কোন তথ্য জানার থাকলে ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় জানান, কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই পাইপগুলো বিক্রি করা হলো। সেই টাকাগুলো এখনও সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়নি। টেন্ডারে পাইপগুলোর মুল্য কয়েক লাখ টাকা হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। আমরা অনেকের সাথে কথা বলেছি, কেউ তুলতে রাজি হয়নি। পরে বাহির থেকে মেকানিক নিয়ে এসে সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সেগুলো মাটির নিচে থাকলে ভবণের ক্ষতি হতো।
এম কন্ঠ/এস