
স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে নারী আন্দোলনের পথিকৃত বেগম রোকেয়ার স্মৃতি কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় এর সঠিক তদারকি ও দেখভালের অভাবে বর্তমানে করুনদশায় পরিণত হয়েছে। দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা স্মৃতি কেন্দ্র দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। কেননা তেমন কোন কার্যক্রম নেই সেখানে। প্রতি বছর রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস উপলক্ষে সরকারীভাবে শুধুমাত্র তিন দিনের জন্য ডিসেম্বর মাসের ৯-১১ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রোকেয়া অনুরাগী মানুষের দাবিতে ১৯৯৭ সালে রোকেয়ার জন্মভিটায় স্মৃতি কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। স্মৃতি কেন্দ্রে একটি অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, মিলনায়তন, ডরমেটরি, গবেষণা কক্ষ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, আবাসিক সুবিধাসহ বিশাল অবকাঠামো রয়েছে। স্মৃতি কেন্দ্রের ভেতর মনোরম পুকুরপাড়ে তৈরি করা হয়েছে বেগম রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য। তবে গ্রন্থাগার থাকলেও সেখানে যুগোপযোগি বই ও সাময়িকী নেই। মিলনায়তনের অবস্থাও করুন ।
[caption id="attachment_1974" align="aligncenter" width="561"]
-রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান দর্শনার্থীরা[/caption]
লোকোবল সংকটের কারণে মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যন্ত্রপাতি থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় ধুলো-ময়লা জমে তা নষ্ট হওয়ার পথে। সংগ্রহ শালার স্থাপনা থাকলেও মুলত সংগ্রহে কিছুই নেই সেখানে, বিদ্যুত বাতিগুল নষ্ট থাকার কারণে স্মৃতি কেন্দ্রটি থাকে অন্ধকারে। এ অবস্থায় অনেক দুর-দুরান্ত থেকে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা দেখতে এসে দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যান। একইভাবে রোকেয়ার বাস্থভিটায় বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা থাকলেও কখনো কখনো আলো জলেনা। অবকাঠামো নষ্টহয়ে যাওয়ার ফলে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রেষ্টহাউজটি।
উপজেলার পায়রাবন্দে নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে (৯-১১ ডিসেম্বর) তিন দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেন উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। এবারো তিনদিনের জন্য আলোকিত হয়ে উঠবে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ। মানুষের পদচারনায় প্রাণ ফিরে পায় তাঁর জন্মভিটার ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র।’
বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন চাই। আর রোকেয়া অনুরাগী মানুষের দাবি বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রসহ যাবতীয় কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার।
এমকন্ঠ/এস/২০২৫