স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে থাকা জমি দখলে নিতে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করছেন ভূমিদস্যুরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর ২ টায় ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভূমিদস্যুদের কৌশল ও দাপটের কথা তুলে ধরেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল।
প্রধান শিক্ষক বলেন, গত ২০ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের নিজেস্ব সম্পত্তি একটি পুকুর নিয়মানুযায়ী লিজ দেওয়া হয়। প্রকাশ্য ডাকে নাটোর জেলার সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পুকুরটি লিজ পায়। কিন্তু কিছুদিন পর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজারা পাওয়া সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে কৌশলে পুকুরটি নিজেদের দখলে নেন পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার ইমরান হোসেন সহ দুস্কৃতীকারীরা।
তিনি বলেন, তারা বৈধভাবে লিজ পাওয়া সিরাজুল ইসলামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুকুরটির কাগজ করে নেন। কিন্তু লিজের শর্তানুযায়ী যা অবৈধ। পুকুর লিজ নিয়ে অন্য কারো কাছে হস্তান্তরের বৈধতা না থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইমরান পুকুরে মাছ চাষাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে উপজেলার জায়গীরহাট এলাকার এনামুল হক হিরা চৌধুরী জড়িত রয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের নামে থাকা পুকুর এবং জমি দখলে নিতে একের পর এক মামলা এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেই চলছেন।
তিনি আরো জানান, এই এনামুল হক হিরা চৌধুরী ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠানের নামে ৮টি মামলা দায়ের করেছেন। যা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। তার প্রথম টার্গেটই ছিল বিদ্যালয়ের পুকুর। পরে ধীরে ধীরে বিদ্যালয়টি ও দখলে নিয়ে নিত। আমরা এই ভুমিদস্যু এনামুল হক হিরার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক হিরা চৌধুরী বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে স্কুলের জমি পাই। সে অনুযায়ী মামলাও করা রয়েছে।