বিনোদন ডেস্কঃ
বাঙালি মন চিরকালই বিচ্ছেদযুক্ত। বাংলা সাহিত্য যুগে যুগে বিচ্ছেদের কথাশিল্প-অমর হয়ে আছে। তাতে পাঠকের মন আপ্লুত হয়, নায়ক-নায়িকার মিলন না হওয়ার আক্ষেপে সদ্য শৈশব পেরোনো কিশোরীও চোখের জল ফেলে। এমন বেদনা জাগা জনপ্রিয় উপন্যাস দেবদাস।
বিচ্ছেদধর্মী উপন্যাস বা গল্পের শেষে ট্র্যাজেডির নাম বলতেই বাঙালির প্রথমেই যে উপন্যাসের নাম মনে আসে, তা হলো দেবদাস। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই অমর সৃষ্টি যেন যুগে যুগে বিয়োগাত্মক প্রেমগাঁথার এক নাম।
দেবদাস কালজয়ী এই ঔপন্যাসিকের শুরুর দিকের উপন্যাস।
তাতে দেখা যায়, দেবদাস পার্বতী বাল্যকালের বন্ধু। একসময় দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, সঙ্গে বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রণয়ে। কিন্তু দেবদাসের পরিবার পার্বতীর পরিবারের সম্বন্ধ করতে চায় না বিধায় ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক। পার্বতীর বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র।
পার্বতীর অন্যের চলে যাওয়ার কষ্টে মুষড়ে পড়ে দেবদাস। প্রেমিকার স্মৃতি ভুলতে মদের বোতলই হয় তার একমাত্র আশ্রয়। একসময় জীবনে আসে বাইজী ‘চন্দ্রমুখী’ কিন্তু সে-ও পার্বতীর দুঃখ ভোলাতে পারে না। উপন্যাসের শেষে পার্বতীর স্বামীর ঘরের দরজার সামনে মৃত্যু ঘটে অসুস্থ দেবদাসের।
মিঠাপুকুরের কন্ঠ/এস/মার্চ-২০২৫