বুধবার , ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. খেলাধুলা
  3. গ্যাজেট
  4. ছোটদের গল্প
  5. জব ও ক্যারিয়ার
  6. জাতীয়
  7. তারুণ্যের গল্প
  8. ধর্ম
  9. নতুন উদ্যোগ
  10. পাঠকের কথা
  11. প্রযুক্তি সংবাদ
  12. প্রিয় মিঠাপুকুর
  13. ফ্যাক্টচেক
  14. বানিজ্য
  15. বিনোদন
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

দেশের প্রথম সফল নারী অ্যাগ্রো ইনফ্লুয়েন্সার পপি

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
মার্চ ১২, ২০২৫ ৫:৪২ অপরাহ্ণ

এম কন্ঠ ডেস্কঃ
২০২০ সাল থেকেই নিজের আগ্রহে, আবার কখনো ব্যবসার প্রয়োজনে পপিকে কখনো পেয়ারাবাগানে, কখনো বরইবাগানে, কখনো কৃষি খামারে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। সে সময় কৃষক-বাগানিদের কাছ থেকে হাত কলমে অনেক কিছু শিখেছেন। পাশাপাশি কৃষকদের নানা সমস্যাও তাঁকে ভাবাত। তাই কৃষি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন।

উম্মে কুলসুম পপি প্রথম ভিডিওটি বানিয়েছিলেন তিস্তার একটি চরে। সেটা ছিল ২০২২ সাল। সেখানে তিনি কুমড়ার চাষ নিয়ে কথা বলেছিলেন। সাড়া পেয়েছিলেন আশাতীত। নিমপাতা ব্যবহার করে জৈব কীটনাশক তৈরির একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন। এটা দেখে অনেকেই পরে নিমপাতা দিয়ে জৈব কীটনাশক তৈরি করে ব্যবহার করেছেন।

 

এ রকম আরও কত ভিডিও। সেসব ভিডিওর কোনোটায় ভোরবেলা খেত থেকে কেটে আনেন কচি লাউ, কখনো বলতে থাকেন লালশাকের গুণাগুণ, আবার কখনো গ্রাম্য বধূর মতো কুলায় চাল ঝাড়তে বসেন। যতটা সম্ভব সহজভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন পপি, সবাই যাতে বুঝতে পারেন। এসব ভিডিওর কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুপরিচিত এক মুখ এখন উম্মে কুলসুম পপি।

 

পপিকে বলা যায় দেশের প্রথম সফল নারী অ্যাগ্রো–ইনফ্লুয়েন্সার। একটু পরিসংখ্যান হাজির করলেই বোঝা যাবে মাত্র দুই বছরেই কতটা ভালোবাসা পেয়েছেন এই নারী। তাঁর ফেসবুক পেজে অনুসারী ২৪ লাখের বেশি। ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার চার লাখ ছাড়িয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সংখ্যাটিও বাড়ছে ধাই ধাই করে।

উম্মে কুলসুম পপি প্রিমিয়াম ফ্রুটসের চেয়ারম্যান আর আবু সাঈদ আল সাগর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

ফলের পাশাপাশি নিরাপদ সবজি, নিরাপদ প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনাও তাঁদের রয়েছে। তাঁদের চিন্তায় অ্যাগ্রিট্যুরিজমের বিষয়টিও রয়েছে।

 

রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁদের নিজস্ব কৃষি প্রকল্পে সবজি ও ফলের গাছ বড় হচ্ছে, আছে মাছের পুকুর। পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে নিজ হাতে ফল পেড়ে খেতে পারবে। বিষমুক্ত সবজি রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। পুকুরে মাছ ধরতে পারবে। গরু থাকবে, খাওয়া যাবে খাঁটি দুধ। সেখানে এক দিন-দুই দিন বেড়ানোর ব্যবস্থাও থাকবে।

পপির ভাষায়, তাঁর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও ব্যবসা একসূত্রে গাঁথা। কৃষিকাজ করলে কে কী ভাববে, এমন দ্বিধা কখনো মনে স্থান দেননি। তাঁর মতে, সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হলো কৃষিকাজ। খামারের গাছগুলো তাঁর কাছে সন্তানের মতো। এই সন্তান ঠিকমতো খাবার (পানি) পেল কি না, চিন্তায় থাকেন সারাক্ষণ।

এম কন্ঠ/এস/মার্চ-২৫

সর্বশেষ - জাতীয়