সোমবার , ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলামিক কন্ঠ
  3. কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ
  4. গ্যাজেট
  5. জব ও ক্যারিয়ার
  6. জাতীয়
  7. তারুণ্যের গল্প
  8. পাঠকের কন্ঠ
  9. প্রযুক্তি কন্ঠ
  10. প্রিয় মিঠাপুকুর
  11. ফ্যাক্টচেক
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. মাঠে ময়দানে
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

২৫ হাজার বছরের পুরোনো পিরামিড নিয়ে রহস্য বাড়ছে

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
মার্চ ১৭, ২০২৫ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

এম কন্ঠ ডেস্কঃ
মিশরের পিরামিড চার হাজার বছরের বেশি সময় আগে কীভাবে তৈরি হয়েছিল? মিসরের ওইসব পিরামিড এবং কীভাবে এগুলো এত বছর টিকে আছে, তা বড় প্রশ্ন। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো পিরামিড নাকি তৈরি হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির মাটির নিচে রয়েছে ২৫ হাজার বছরের ইতিহাস। এই পিরামিডের কাছে নেহাতই শিশু মিশরের পিরামিড।

 

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় সবুজ দিয়ে মোড়া এক পাহাড়ি অঞ্চল। এর মাঝে ইতিউতি পড়ে থাকতে দেখা যায় ছোটবড় অসংখ্য রহস্যময় পাথর। এই অঞ্চলে মূলত প্রাচীন জাতিদের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি অতি পবিত্র স্থান। কিন্তু এর আসল রহস্য বহু দিন অজানাই থেকে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, এখানে মাটির নিচে লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক বিশাল পিরামিড।

ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এজেন্সির এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে আসে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল, প্রত্নতত্ত্ববিদ, ভূতত্ত্ববিদ, ভূপদার্থবিদদের একটি বিশেষ দল অভিযান চালায় এই অঞ্চলে। দীর্ঘ গবেষণা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পরে রিপোর্ট প্রকাশ করেন তারা।

 

রিপোর্টে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় খোঁজ পাওয়া পিরামিডের নাম ‘গুনুং পাডাং’। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের স্থাপত্যকে ‘পান্ডেন বেরুনডাক’ নামে ডেকে থাকেন। নামের অর্থ ধাপে ধাপে ওঠা পিরামিড। এ অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের পা পড়েছে মাত্র এক দশক আগে। তার আগে এই অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছে সুপ্রাচীন স্থাপত্যের অস্তিত্ব অধরাই থেকে গিয়েছিল। একে একটি পাহাড় বলেই জানতেন সে দেশের মানুষ।

বিশেষজ্ঞেরা প্রথমে জানিয়েছেন, মিশরের পিরামিড, এমনকি স্টোনহেঞ্জের থেকেও পুরোনো এই পিরামিড সম্ভবত মানুষের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন মেগালিথিক (একাধিক বিশালাকারের পাথর দিয়ে তৈরি) স্থাপত্য। অবশ্য সম্প্রতি সেই ধারণা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতে শুরু করেছেন গবেষকদের একাংশ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, আগ্নেয় পাথরের তৈরি পাহাড়ের গা কেটে এই স্থাপত্য তৈরি হয়েছিল। তুষার যুগের শেষে তৈরি হয়েছিল এই স্থাপত্য।

পিরামিডের মূল অংশটি বিশাল অ্যান্ডেসাইট লাভা দিয়ে তৈরি। পিরামিডের প্রাচীনতম নির্মাণ উপাদানটি সম্ভবত একটি প্রাকৃতিক লাভা পাহাড়। তার পর সেটি কেটে কেটে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল এবং তার পর একে স্থাপত্যের রূপ দেওয়া হয়েছিল।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, গুনুং পাডাংয়ের গঠন বেশ জটিল এবং একই সঙ্গে অভিজাত। এর সবচেয়ে গভীর অংশ মাটির থেকে ৩০ মিটার নিচে। পিরামিডের কেন্দ্রস্থলটি খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ হাজার থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১৪ হাজার বছরের মধ্যে তৈরি। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।

খ্রিষ্টপূর্ব ৭৯০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৬১০০ বছরের মধ্যে এর কাজ চলে। চূড়ান্ত নির্মাণকাজ চলে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১১০০ বছরের মধ্যে। পিরামিডের উপরিভাগের এই অংশটিই বর্তমানে কিছুটা দৃশ্যমান।

পিরামিডের পরিকল্পনাও অত্যন্ত জটিল ধরনের। এর সবচেয়ে গভীর অংশটি মাটির প্রায় ৩০ ফুট নিচে রয়েছে। এ ছাড়াও এর ভেতরে রয়েছে বিরাট আকৃতির বেশ কয়েকটি গুপ্ত কক্ষ, যার সব ক’টির রহস্য সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

 

একটি নতুন গবেষণাপত্রে গবেষকদের একটি চমকপ্রদ দাবি উঠে এসেছে। তারা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ার গুনুং পাডাং পিরামিড খ্রিষ্টের জন্মের আনুমানিক ১৬ হাজার থেকে ২৭ হাজার বছর আগে নির্মিত হয়েছিল ঠিকই, তবে এই নির্মাণটি আদৌ মানুষের তৈরি কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, গুনুং পাডাং স্থাপত্যটি বৈচিত্র্যে ভরা। এটি বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার বিভিন্ন গোষ্ঠীর দখলে এসেছে। তাদের প্রভাবে এর স্থাপত্য ও আকারে পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এই পিরামিডের প্রতিটি কোনায় লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।সুত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন

এম কন্ঠ/এস/২৫

সর্বশেষ - কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ