ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, দিনমুজুরের বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে-নিরব প্রশাসন!

প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
৯ বার পাঠ করা হয়েছে

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে কয়েকটি বাড়ি। ছবিঃ মিঠাপুকুরের কন্ঠ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

হামরা বাবা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। তিন মাস থাকি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলিয়া দরিয়া বানে ফেলাইছে।কুনদিন যে হামার বাড়ি ধ্বসি পড়ে আল্লায় জানে।প্রতিবাদ করছিনু জন্য মোক ধরি ডাঙ্গাইছে। ইউএনও অফিসত অভিযোগ দিছো জন্য মোর ঠ্যাঙ্গ ভাঙ্গি দিবার চাইছে।

রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে এভাবেই ভয়ার্ত কন্ঠে কথাগুলো প্রতিবেদককে বলছিলেন দিনমজুর আবুল হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক তাজপুরে পুকুর খননের অজুহাতে গত তিনমাস থেকে অনবরত বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় শাহ আলম গং। তিনমাস থেকে পকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অনবরত বালু উত্তোলনের ফলে পুকরের পাড় সংলগ্ন আবুল হোসেনের বাড়িসহ চারটি দিনমজুর পরিবারের বাড়ি ঝুঁকিতে পড়ে। যে কোন মুহুর্তে ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হলে দিনমজুর আবুল হোসেন প্রতিবাদ জানালে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করে বালু ব্যবসায়ী শাহ আলম গং।

এঘটনায় গত ১০ মার্চ ভুক্তভোগী আবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়েরের পর এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা এলে শাহ আলম গং অর্থের বিনিময়ে দফারফা করে, পুনরায় চলছে বালু উত্তোলন। এমনকি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বালুখেকোরা বলছন, আমরা সব অফিস ম্যানেজ করেই বালু তুলতেছি। এরপরে কেউ অভিযোগ দিলে পা ভাঙ্গে দেবো।

এবিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী সাইফুল জানান, হামরা বাপু গরিব মানুষ। ওরা টাকা দিয়ে পুলিশ, ইউএনও, এসিল্যান্ড সব অফিসের লোক কিনি ফেলছে। হামার কোন বিচার নাই। এই বাড়িটায় হামার সম্বল। এখন আল্লাহ আল্লাহ করতেছি বাড়িঘরটা যেন ধ্বসি না পড়ে।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উক্ত স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

এম কন্ঠ/এস/২৫