এম কন্ঠ ডেস্কঃ
বৃদ্ধ বয়সে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৬৫)। কনে একই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী আইরিন আক্তার (২২)।
শনিবার (২২ মার্চ) উপজেলার দক্ষিণ কোটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কনে বেশে এক তরুণীকে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত এক বৃদ্ধ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা এখন স্বামী-স্ত্রী। সম্প্রতি তারা বিয়ে করেছেন। কলেজ ছাত্রী আইরিন নিজ ইচ্ছায় বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামকে বিয়ে করেছেন।
জানা গেছে, ১৫ বছর আগে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মারা যান। তখন থেকেই তিনি একা হয়ে পড়েন। এলাকায় বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম কারও ‘দাদা’ আবার কারও ‘নানা’ হিসেবে পরিচিত। আইরিন আক্তারের সঙ্গে বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের পরিচয়। আইরিন আক্তার টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করেন। আইরিনের পড়াশোনার সব খরচ বহন করছেন শরিফুল। তার পড়াশোনার খরচ বহন করতে ব্যাংকে ছয় লাখ টাকা ডিপোজিট করেছেন তিনি। সেই টাকার প্রতিমাসের লভ্যাংশ দিয়ে আইরিন আক্তার পড়াশোনার খরচ চালায়।
কলেজ ছাত্রী আইরিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। তিনি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছেন। বন্ধুর মতো সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমি নিজের ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করেছি। তবে এ বিয়েতে আমার বাবা রাজি ছিলেন না। তাই ভাই ও মা এসে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।’
স্থানীয়রা জানান, আইরিন আক্তারের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। চতুর্থ শ্রেণি থেকেই আইরিনের পড়াশোনার খরচ দিয়ে আসছেন বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম। তারা পারস্পরিক সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন।
বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম বলেন, আইরিন ছোট থেকেই অনেক মেধাবী। আমি তার পড়াশোনায় সহায়তা করছি। সে আমাকে নানা বলে ডাকে। সে আমাকে হুট করে বিয়ে করতে বলে। এ কথা শোনে আমি হতবাক হয়ে কয়েকদিন তাকে বোঝার সময় দেই। কিন্তু সে কোনোভাবেই মানেনি। আমাকেই সে বিয়ে করবে। তাই আমি বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন