স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ১ সন্তানের জননী ও ৩ সন্তানের জনক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে থানায় সোপর্দ্দ করেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় পরকীয়া প্রেমিক জুটির বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা ও মাদক মামলা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাঁছিয়া (ডাড়ার পাড়) নামক গ্রামে।
এলাকাবাসী ও থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেনের সাথে পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের জলাইডাঙ্গা গ্রামের নওশাদ আলীর মেয়ে শাকিলা বেগমের সাথে ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা এক সন্তানের জনক ও জননী হয়। এরপর দাম্পত্য জীবনে কলহ বিবাদের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। দেন মোহরানা বাবদ ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও পরিশোধ করেন স্বামী ফরহাদ।
এরপর দীর্ঘ ৭ বছর পর ২০২৩ সালে সন্তানের কথা চিন্তা করে তারা আবারো স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলার মোগলকোট গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম আমিনের সঙ্গে এক সন্তানের জননী শাকিলা বেগম পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে ঘটনারদিন সকাল ১১ টার দিকে স্বামী ফরহাদ মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্ত্রী শাকিলা তার পরকীয়া প্রেমিক রফিকুল ইসলাম আমিনকে ঘরে ডেকে অনৈতিক কাজে মিলিত হন। এ সময় স্বামী ফরহাদ মিয়ার মা নুরবানু বেগম পূত্রবধুর ঘরে খাবার নিয়ে গিয়ে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেন।
এ সময় প্রেমিক আমিনের সঙ্গে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে এ ঘটনায় থানায় প্রেমিকা শাকিলা বেগম বাদী হয়ে প্রেমিক আমিনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা ও মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ১টি মামলা করেন। দুটি মামলায় রফিকুল ইসলাম আমিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এম কন্ঠ/এস/২৫