সংরক্ষণের অভাবে রংপুরে পচে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার মেট্রিক টন আলু। অন্যদিকে দাম না থাকায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। ফলে আলু আবাদ করে এবার চরম বিপাকে এই অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি বিভাগ আশার কথা শোনাতে না পারলেও জানিয়েছে রফতানির চেষ্টা চলছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা সেকেন্দার আলী। প্রতিবছরের মতো এবারও ২০ বিঘা জমিতে ১০ লাখ টাকা খরচ করে আলু আবাদ করেছেন। তিনি জানান, হিমাগারে জায়গা না পাওয়ায় ঘরেই সংরক্ষণ করছেন ঘাম ঝড়ানো ফসল। একদিকে আলু পচে নষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে নেই ক্রেতাও।
গোয়াল ঘর, বাড়ির উঠান, পুকুরের পাড় সর্বত্রই আলুর স্তূপ। পচন ধরে এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কৃষকরা জানান, অর্থ খরচ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা আলু এখন গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে আলু রয়েছে। সংরক্ষণ ও বিক্রি না করতে পারায় পচে যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় কৃষকদের কোনো আশার কথা শোনাতে না পারলেও বরাবরের মতো দায়সারা জবাব কৃষি বিভাগের। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিদেশে আলু রফতানির চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে ১ লাখ ১ হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন হয়েছে ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন।