শনিবার , ৩ মে ২০২৫ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলামিক কন্ঠ
  3. কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ
  4. জব ও ক্যারিয়ার
  5. জাতীয়
  6. পাঠকের কন্ঠ
  7. প্রযুক্তি কন্ঠ
  8. প্রিয় মিঠাপুকুর
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. মাঠে ময়দানে
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সম্পাদকীয়
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও স্বপ্ন অনিশ্চিত মিঠাপুকুরের রিফার

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
মে ৩, ২০২৫ ৬:০১ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে নিলেও মিঠাপুকুরের রিফা খাতুনের ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রতা। অভাব অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া রিফা এখনো আর্থিক সমস্যার কারণে ঢাবিতে ভর্তি হতে পারেনি।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের বুজরুক মহদীপুর গ্রামের মৃত বজলুর রশীদের মেয়ে রিফা খাতুন। তিন বোনের মধ্যে রিফা সবার ছোট। তার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

 

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১০৩তম করে নিয়েছে মেধাবী রিফা। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে রিফার গৃহিনী মা লাভলী বেগম। তার মা হাঁস-মুরগি লালন পালন করে মেধাবী মেয়েকে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন।

 

রিফা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরো ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু তার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। ছোটবেলা থেকেই রিফা শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছে। রিফা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেনাবাহিনী পরিচালিত বিইউপি-তে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

 

স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রিফা। স্বপ্ন ছিল এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে চিকিৎসক হবার। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে খরচ অনেক বিধায় ভর্তি হন রংপুর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগে। সেখানে শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

 

রিফার মা লাভলী বেগম বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এখন ভর্তির জন্য কমপক্ষে ১৮-২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এছাড়া ভর্তির পর হলে থাকাসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। আর্থিকভাবে পরিবার স্বচ্ছল না হওয়ায় ভর্তি হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে জুনের মধ্যেই ঢাবিতে ভর্তি হতে হবে। কারণ জুলাইয়ের ২ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হবে। আর্থিক সহায়তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

রিফার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাস করে বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করার। কিন্তু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হতে বসেছে। কেউ একটু এগিয়ে এলে পূরণ হবে তার স্বপ্ন। এজন্য সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোগিতার আশায় আছেন রিফা খাতুন ও তার পরিবার।

এম কন্ঠ/এস -সুত্রঃ ঢাকা পোস্ট

সর্বশেষ - পাঠকের কন্ঠ