স্টাফ রিপোর্টারঃ
গ্রীষ্মের দাবদাহে মাঠে ফসল রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। প্রচণ্ড তাপমাত্রা আর পানির অভাবে প্রতিদিন যেন পুড়ে যাচ্ছে তাদের শ্রমের ফসল। গ্রামীণ মাঠে দেখা গেছে, কীভাবে তপ্ত রোদে সংগ্রাম করে চলেছেন এই খাদ্যশিল্পের মূল সৈনিকেরা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে ধানক্ষেত। কৃষিজমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ডিজেলচালিত মেশিন দিয়ে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দাবি কৃষকদের। কৃষি বিভাগের পরামর্শ আর সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে খাদ্যশিল্পের এই মূল সৈনিকেরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৮°C , যা গত বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আর অপরিকল্পিতভাবে গাছ নিধনের প্রভাবে কৃষকদের এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ফসলের নিবিড় পর্যবেক্ষণ, সেচের বিকল্প ব্যবস্থা এবং তাপসহিষ্ণু বীজ ব্যবহার করতে হবে। কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষিজনরা।
কৃষকরা জানান, রোদ হোক বা বৃষ্টি তাদের জমিতে আসতেই হয়। ফসল না ফলালে সংসার চলেনা তাদের। কৃষির উপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা।
তপ্ত মাটি আর সামান্য বাতাসের মধ্যে থেকেও কৃষক-কৃষাণীরা যে অদম্য ইচ্ছাশক্তি দেখাচ্ছেন, তা সত্যিই শ্রদ্ধার দাবিদার। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এই সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়ানো কি আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব নয়?
এম কন্ঠ/ এস