স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাটের পর আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। তারা প্রবাসীর জমি বেদখলের চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার গভীর রাতে মিঠাপুকুর উপজেলার পুরান বৈরাতির মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই প্রবাসীর মালামালসহ বসতঘর পুড়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন এবং লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুন্ঠন হয় বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই শফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্বজন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর মৌজার পুরান বৈরাতির মোড়ের কাছে ৫১ শতক জমি একই এলাকার মোতাহার ওরফে মোতালেব বিক্রির জন্য স্থানীয় রতিয়া গ্রামের জার্মান প্রবাসী রফিকুল ইসলামের কাছে বায়না গ্রহন করেন। এরপর ওই জমি গোপনে তার ছেলে আনিছুরের নামে হেবানামা দলিল করে দিয়ে পরে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি দলিল করে দিয়ে জমির দখল বুঝে দেন। প্রবাসী রফিকুল ইসলাম তখন থেকে জমিতে চতুরদিকে টিনের সীমানা বেড়া দিয়ে বসতঘর নির্মান করে বসবাস ও ভোগ দখল করে আসছেন।
এমতাবস্থায় মোতাহার ওরফে মোতালেব, তার ছেলে আনিছুর, আঃ রহিম সহযোগী ১৫/১৬জন সহ একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে গত সোমবার গভীর রাতে ওই জমি বেদখলের অপচেষ্টায় সেখানে থাকা প্রবাসীর বসতঘরে হামলা, লুন্ঠন, অগ্নি-সংযোগ, সীমানা বেড়া ভাংচুর করে মিঠাপুকুর উপজেলার পুরান বৈরাতির মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই প্রবাসীর মালামালসহ বসতঘর পুড়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন এবং লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুন্ঠন হয় বলে দাবী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাই শফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাই শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এখনো হামলাকারী সন্ত্রাসীরা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার স্বজনদের নানান হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার সাথে সাথে তারা মিঠাপুকুর থানায় গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ তাদের কোন সহায়তা না করে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তিনি কোর্টে দিয়ে মামলা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম মাষ্টার, শফি মিয়া ও সাজু মিয়া বলেন, প্রবাসী রফিকুল ওই জমি কেনার পর বসতঘর করে ৭/৮বছর থেকে ভোগদখলে আছে। হঠাৎ এখন শুনতেছি, মোতাহার ওরফে মোতালেব জমি প্রবাসীর কাছে বিক্রি দলিল করে দেওয়ার আগে গোপনে তার ছেলের নামে হেবানামা করে দিয়েছে। যা অন্যায় এবং প্রতারনা।
অভিযুক্ত মোতাহার ওরফে মোতালেবের সাথে এব্যাপারে কথা বলতে তাকে সন্ধান করে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে আনিছুর বলেন, আমার বাবা প্রতারনা করলে তার দায় তার নিজের। আমি আমার জমি চাই।
স্থানীয় চেয়ারম্যান, শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে সমঝোতার জন্য ডেকেছিলাম কিন্তু তারা আসেনি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে মালিকানার বিতর্ক এবং আদালতে মামলা চলমান থাকায় ভুক্তভোগীকে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি সেখানে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় নোটিশ জারী করা হয়েছে।
এম কন্ঠ/এস