1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন

মিঠাপুকুরে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন!

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ৪ বার পাঠ করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের রুপসী মধ্যপাড়া (কালিরমোড়) এলাকায় মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে এক বৃদ্ধকে নির্যাতন করা হয়েছে।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধর নাম লাল বাবু রায় (৭০)। তিনি রুপসী গ্রামের মৃত সন্তোষ রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী লাল বাবু মামলা করেছেন।

মামলার নথি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রুপসী মধ্যপাড়া গ্রামের ছোট্টো একটি খড়ের ঘরে বসবাস করেন লাল বাবু। স্ত্রীর মৃত্যু আর মেয়েদের বিয়ের পর ওই ঝুপড়ি ঘরে একাই থাকেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তার সেই মাথাগোঁজার শেষ সম্বলটুকুও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার দিন গত ১৫ মে সকাল ১১ টার দিকে বাবু লালের ঘর ভাংচুর শুরু করেন একই গ্রামের প্রতিবেশী শ্রী বিভূজন, শ্রী নির্মল জগদীশ চন্দ্র, নয়ন ও সিন্ধু রানী সহ ৯-১০ জন। এসময় বাবু লাল বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাকে রক্ষা করেন। এরপর থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে একটি আম গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় বিভূষণ চন্দ্র ও তার লোকজন। একপর্যায়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচান। এ ঘটনার পর ওই এলাকয় বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অবশেষে রংপুর আদালতে মামালা করেছেন নির্যাতনের শিকার লালা বাবু।

স্থানীয় আজিজুল, হ্নদয় ও লিটন মিয়া বলেন, লাল বাবু বড়োই অসহায়, একাই থাকেন। কিন্তু তার সাথে জমিজমা নিয়ে যেটা করা হয়েছে সেটা অমানবিক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।

নির্যাতনের শিকার লাল বাবু বলেন, আমার জমি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে ওরাই বাড়ি করে আছে। আমি ছোট একাটা ঘরে থাকি। সেটাতেও ওরা থাকতে দিচ্ছে না। আমি কোথায় যাবো? আমাকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে রক্তাক্ত করেছে। আমি বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত সিন্ধু রানী বলেন, এ সময় পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই। সেদিন ওই লাল বাবু আমাদের আগে মারপিট করেছে। পরে আমরা তাকে ভয় দেখানোর জন্য বেঁধে রাখি। পরে আবার ছেড়ে দিয়েছি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এম কন্ঠ/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com