স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের পাইকান গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পাইকান পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আব্দুল ওহাব ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবি জানান। এর আগে আব্দুল ওহাব এর বিরুদ্ধে রাস্তা বন্ধের বিষয়ে ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রতিবেশীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের পাইকান পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি ভুক্তভোগী ওহাব আলীর বাড়ির সামনে গিয়ে মোড় নিয়েছে। এখান থেকে রাস্তাটি দক্ষিণ দিকে ফসলের মাঠ এবং পূর্বদিকে ১৫ থেকে ২০ টি বাড়ির যাতায়াতের রাস্তার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী আব্দুল ওহাব দলিলাদি উপস্থাপন করলে দেখা যায় প্রতিবেশীদের যাতায়াতের যে রাস্তা সেটি সরকারি রেকর্ডভুক্ত নয়। রাস্তাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন অর্থাৎ আব্দুল ওহাবের নিজেস্ব জমির উপর।
সম্প্রতি আব্দুল ওহাব নিজ বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দেন। এতে রাস্তার প্রস্থ কিছুটা কমে যায়। কিন্তু জনগণের এবং অটো চলাচলের জন্য রাস্তা ছিল এবং এখনো আছে। অথচ প্রতিবেশী জয়দুল মিয়া (৪৫), আতিয়ার রহমান (৭০), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), রেজওয়ান (২৫), সেকেন্দার মিয়া (৫০) খাজানুর মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া সহ অনেকে মিলে মিঠাপুকুর থানায় ৫’শ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেন এবং ওহাব আলীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় ওই গ্রামের জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
ময়নুল ইসলামসহ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ওখানে রাস্তা আগেও ছিল এখনো রাস্তা আছে। রাস্তা তো কেউ বন্ধ করেনি। এখন কেউ যদি ট্রাক যাওয়া রাস্তা চায়, সেটা তো সম্ভব নয়। কারণ কেউ নিজের জমি ছেড়ে দিবেনা। গোটা পাইকান গ্রামে পরিবার আছে ৭ থেকে ৮শ’ ওরা (প্রতিবেশীরা) ওখানে ৫’শ পরিবার কোথায় পেলো। সবমিলে ১৫-২০ পরিবার হবে। অভিযোগটাই মিথ্যা।
ভুক্তভোগী ওহাব আলী বলেন, যেদিক দিয়ে রাস্তা গেছে সেটা আমার নিজের জমি। ওখানে রাস্তা আগেও ছিল এখনো আছে। আমিতো রাস্তা বন্ধ করিনি। আমার জমির চারপাশে গাছ লাগানো এবং বেড়া দেওয়াটাও কি আমার অন্যায়। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে দেখুক রাস্তা আছে কি না। আর ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ১০-১২ টা পরিবার আর ওরা অভিযোগ দিয়েছে ৫’শ পরিবার। এটা কেমন কথা এতো মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি কেন? আমি সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী জয়দুল মিয়া বলেন, রাস্তাটি দিয়ে আমাদের বাপদাদার সবাই চলাচল করে আসছে, আমরাও করছি। হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করেছে তাই অভিযোগ দিয়েছি। কেন ফেসবুকে দেখেন নাই? _______ রাস্তা কি আসলেই বন্ধ? প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১ হাত বন্ধ করলেও বন্ধ, ২ হাত বন্ধ করলেও বন্ধ। আমাদের বড় রাস্তা লাগবে। এখন যে রাস্তা আছে একটা ট্রলি চলবে না। গ্রামে অনেক কয়েকবার বসছি সে বোঝেনা তাই অভিযোগ দিয়েছি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রাস্তার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করা হলে সেটিও দেখা হবে।