স্টাফ রিপোর্টার:
চব্বিশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী এবং ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নজির গড়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। মঞ্চের সামনে দর্শক সারিতে বসেছেন দুই উপদেষ্টাসহ সম্মানিত অতিথিরা। শুধু তাই নয়, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনকে করা হয়েছে এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পালিত হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে ‘জুলাই শহীদ দিবস’।
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের পাশে বসেছেন আরও ২১ জন শহীদের পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, দর্শক সারিতে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল এবং পানিসম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাদের সঙ্গে একই সারিতে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য ড. তানজীমউদ্দীন খান, বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল প্রমুখ।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের জাফরপাড়ায় আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্বোধন করা হয় আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর এবং তার নিহত হওয়ার স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্ত্বর’ ঘোষণার মাধ্যমে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।
এদিকে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ভোর থেকেই শহীদ আবু সাঈদের কবরের চারপাশে নীরবতা ভাঙে কান্না, শোক আর শ্রদ্ধার স্রোতে। শহীদ আবু সাঈদের কবরে ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তার মা-বাবা, শিক্ষক, সহপাঠী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী এবং ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা জুলাই আন্দোলনের এ মহানায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান।
এম কন্ঠ/এস
Leave a Reply