1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেতু আছে, সড়ক নেই: বাঁশের মইয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ হাজার মানুষ মিঠাপুকুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক আত্মগোপনে স্বামী, পুত্রবধূকে ঘর ছাড়া করতে শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উত্তরের নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি-সতর্কতা জারি রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের শিশু খুন রংপুর সহ ৪৮ জেলায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দেওয়া হবে দৈনিক ভাতা মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের সিন্ডিকেট, এবার নবজাতকের মৃত্যু! মিঠাপুকুরের ঐতিহাসিক পুকুরটি লিজ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা, কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

মিঠাপুকুরে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬০ বার পাঠ করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে রাস্তার ধারের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৫নং বালারহাট ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুলাই থেকে শুরু করে ১৯ জুলাই পর্যন্ত উপজেলার ৫নং বালারহাট ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের চৌপথি হতে কাঠালতলী জামে মসজিদ পর্যন্ত সরকারী রাস্তার দুই ধারে থাকা ৩ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১০টি বড় বড় মেহগিনি ও ইউক্যালিপ্টাস গাছ একই গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার সুপার মোঃ তাহেরুল ইসলাম কেটে নিয়েছেন।

অভিযুক্ত শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার সুপার মোঃ তাহেরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি ওই গাছগুলির মালিকানা দাবী করে বলেন, তার গাছ তিনি কেটে নিয়েছেন। রাস্তার গাছ তার কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ তার জমিতে এবং তিনি গাছগুলি রোপন করেছিলেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না বলে তিনি জানান।

বালারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতন জানান, গাছগুলো রাস্তার তবে তাহেরুল মাওলানা সাহেব গাছগুলো রোপন করেছেন দাবী করে কেটে নিয়েছেন। যা বিধি মোতাবেক হয়নি। আমি তাকে বিধি মোতাবেক গাছ কাটার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি শুনেন নাই। পরে গাছ কাটার খবর পেয়ে গাছ আটক রাখার জন্য দফাদার আকমল, চৌকিদার খায়রুল এবং আনোয়ার মেম্বরকে দায়িত্ব দিয়েছি। এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দফাদার আকমল হোসেন, চৌকিদার খায়রুল ইসলাম এবং আনোয়ার হোসেন মেম্বরের সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রথমতঃ এলাকাবাসী সুত্রে গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, তখন মাত্র ২টি গাছ কেটেছে। আমরা আর গাছ না কাটতে এবং কাটা গাছ ওইখানেই রাখতে নির্দেশ দিয়ে চলে এসেছি। পরে শুনি তাহেরুল মাওলানা সাহেব আমাদের নির্দেশ অমান্য করে ৩ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১০টি বড় বড় মেহগিনি ও ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে নিয়ে বৈরাতীর ওই দিকে কোথাও বিক্রি করেছেন। যাহা চেয়ারম্যান সাহেবও জানেন। তবে গাছ কাটার ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাহেব এবং মাওলানা সাহেবের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, তাহেরুল মাওলানা ক্ষমতার দাপটে সরকারী রাস্তার গাছ কেটে নিয়েছেন। এর আগেও তিনি ক্ষমতার দাপটে বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। নিরীহ গ্রামবাসী তাদের দাপটের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।

এম কন্ঠ /এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com