1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মিঠাপুকুরে মসজিদের জমি দখল, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা রংপুরে বাবা হত্যার বিচার দাবিতে শহীদ মিনারে সন্তানরা রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সময়সূচি, আয়োজক আমিরাত রংপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার,১ মিঠাপুকুরে আদালতের রায় অবমাননা করে জমি দখলের চেষ্টা, থানায় মিথ্যা অভিযোগ! মিঠাপুকুরে ঝুকিপূর্ণ মাদরাসা ভবনে চলছে পাঠদান, নিরব সংশ্লিষ্টরা ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের মতো ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক দেশে সম্ভব না’ পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১৬২০ নিরাপত্তা হুমকিতে মাইক্রোসফট সার্ভার!

মিঠাপুকুরে ঝুকিপূর্ণ মাদরাসা ভবনে চলছে পাঠদান, নিরব সংশ্লিষ্টরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৭২ বার পাঠ করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট হামিদিয়া আলিম মাদরাসায় একটি একতলা একাডেমিক ভবন রয়েছে। ভবনটি ৭ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু এটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভবনটির অনেক অংশ ধস পড়ছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানের বিম এবং পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। অবশ্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ারএই ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। তবে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। ভবনটির বেহাল দশার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আসংকা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরাও থাকেন চরম দূরচিন্তায়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে একমাত্র মাদরাসা এটি। এই মাদরাসায় এবতেদায়ী থেকে আলিম পর্যন্ত লেখাপড়া হয়। লেখাপড়ার দিক থেকেও এগিয়ে আছে মাদরাসাটি। কিন্তু ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এটি যে কোনো সময় সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের এই বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি ও বালারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত জানান, মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পার হলেও তেমন কোন  সংস্কার হয়নি। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী আছে। মাদরাসাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। শিক্ষকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন। মাদরাসাটির পরিত্যক্ত ভবনটি সংস্কার জরুরী।

৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহজামিন, ফাহমিদা আরেফিন বলেন, ‘স্যার এইখানে বসে লেখাপড়া  করতে ভয় লাগে। ছাদ ভেঙে আমরা আহত হই।’ অভিভাবক সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ বলেন, পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস নেওয়া হয়। এ কারণে আমরা সন্তানদের মাদরাসায় পাঠাতে ভয় পাই।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদরাসাটির তিন কক্ষবিশিষ্ট পরিত্যক্ত ভবনটিতে একটিতে শিক্ষক শিরনায়তন। আর বাকি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ভবনটির প্রতিটি পিলারে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের সামনের অংশের বিম ভেঙে গেছে। বিদ্যালয়ের ভেতরের বিমগুলোর অবস্থাও করুণ। যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাকিসব শ্রেণির পাঠকক্ষের অবস্থা আরও নাজুক। সেগুলোও অনেক পুরনো ভাঙ্গা টিনের ছাউনির কয়েকটি কক্ষে চলে পাঠদান।

বালারহাট ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ তাহেরুল ইসলাম বলেন, শ্রেণিকক্ষ না থাকায় অনেকগুলো জীবনের ঝুঁকি জেনেও পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। এমনকি মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করিয়ে মাদরাসার শ্রেণি কার্যক্রম চালানো হয়। মানসম্মত একটি একাডেমিক ভবন মাদরাসাটির সকল সমস্যা সমাধান দিতে পারে।

এম কন্ঠ/এস/২০২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com