1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেতু আছে, সড়ক নেই: বাঁশের মইয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ হাজার মানুষ মিঠাপুকুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক আত্মগোপনে স্বামী, পুত্রবধূকে ঘর ছাড়া করতে শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উত্তরের নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি-সতর্কতা জারি রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের শিশু খুন রংপুর সহ ৪৮ জেলায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দেওয়া হবে দৈনিক ভাতা মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের সিন্ডিকেট, এবার নবজাতকের মৃত্যু! মিঠাপুকুরের ঐতিহাসিক পুকুরটি লিজ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা, কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭২ বার পাঠ করা হয়েছে
জিআই স্বীকৃতি পেল ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি

ডেস্ক রিপোর্ট:
ফুলবাড়িয়ায় হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী লাল চিনি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ওয়েবসাইট চেক করে ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জিআই পণ্যের জন্য উপজেলা প্রশাসন গত বছরের ১১ জুলাই আবেদন করে।

আবেদন নম্বর জিআই ৮৮। পণ্যের শ্রেণি ৩০। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৮।তিনি বলেন, ‘ফুলবাড়িয়ার লাল চিনির বিষয়ে গত ২৭ মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর থেকে জার্নালে প্রকাশ করা হয়। আর কোনো পক্ষের দাবি আছে কি না, সে জন্য জার্নালটি প্রকাশ করা হলেও কারও দাবি না থাকায় সব প্রক্রিয়া শেষে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। সনদের জন্য আজ সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, হাতে তৈরি লাল ফুলবাড়িয়ার কৃষকের ব্যাপক একটি অর্থকারী ফসল। জি আই স্বীকৃতি পাওয়া এখন সারা দেশে লাল চিনি সর্ম্পকে জানবেন।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৃষক আখের রস থেকে হাতে তৈরি করে লাল চিনি। দেশব্যাপী এর সুনাম রয়েছে। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া ফুলবাড়ির সর্বস্তরের মানুষ আনন্দি ও উচ্ছ্বাসিত।

পলাশতলী গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, লাল চিনি তৈরির একমাত্র কাঁচামাল আখ। জমি থেকে আখ সংগ্রহের পর তা পরিষ্কার করে যন্ত্রচালিত কলের সাহায্যে রস বের করা হয়। জ্বালঘরের চুলায় সাতটি লোহার কড়াই বসিয়ে প্রথমে কাঁচা রস জ্বাল দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে কড়াই বদলে জ্বাল দিয়ে রস ঘন করা হয়। শেষে কাঠের মুগুর দিয়ে বারবার নাড়া দিয়ে তৈরি হয় অদানা বাদামি রঙের লাল চিনি। শুকনো ধুলার মতো বা গুটির মতো—দুই রকম আকারে এটি তৈরি হয়। পরে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। জমিতে চৈত্র মাসে আখ রোপণ করা হয়। পৌষ মাস থেকে শুরু হয় আখমাড়াই। আড়াই মাস ধরে চলে লাল চিনি তৈরির কাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, হাতে তৈরি লাল চিনি ফুলবাড়িয়ার একটি ঐতিহ্য। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় মানুষ অনেক আনন্দিত, লাল চিনি কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক আবদান রাখবে।

এম কন্ঠ/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com