
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বর আঙিনার এক পাশে মসজিদ, অন্য পাশে মন্দির। অভিন্ন আঙিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। মন্দিরে সকাল-সন্ধ্যা চলে প্রাত্যহিক পূজা-অর্চনা। একই স্থানে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পাদনে কখনও কারও কোনো সমস্যা হয়নি।
দুর্গামন্দির প্রধান পুরোহিত সুবাস জানান, প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা-অর্চনা হচ্ছে। নামাজের সময় মাইক ও মন্দিরের ঢাক-ঢোল বন্ধ থাকবে। নামাজ শেষে সুগন্ধি ছড়াবে ধূপের কাঠি। শুরু হবে ঢাকের বাজনা। যুগ যুগ ধরে চলা এই সম্প্রীতি আমরা ধরে রাখব। শত বছরের বেশি সময় ধরে এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। পাশেই পূজামণ্ডপে চলে পূজা-অর্চনা আর উলু ধ্বনি। তবে নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখা হয়। মসজিদ কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটি আলোচনার মাধ্যমে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন চন্দ্র রায় বলেন,মিঠাপুকুর আদিদেব সার্বজনীন পূজামণ্ডপে অনে বছর ধরে দুর্গোৎসব পালন করছি। পাশেই মসজিদ। মুসল্লিরা নামাজ পড়েন, আমরা পূজা-অর্চনা করি। নামাজের সময় গান-বাজনা, ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখি। আদিদেব মন্দিরের সার্বজনীন পূজামণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বছর ধরে এখানে পূজা করে আসছি। কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মুসল্লিরা আমাদের সব সময় সহযোগিতা করেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে এক পাশে পরিষদ চত্বর মডেল মসজদি, অন্যপাশে আদিদেব দুর্গাপূজা মন্দির। একশ গজ দূরত্বের দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৫০ বছর ধরে মানবতার অনন্য নিদর্শন।
জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই এই মন্দির স্থাপিত ।ঢাকা রংপুর মহাসড়কের পাশে পরিষদ চত্বর আদিদেব মন্দির নির্মাণ করা হয় মন্দির। আশির দশকের আগে মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বরে মসজিদ ঘরে নামাজ আদায় শুরু করেন মুসল্লিরা।
এম কন্ঠ/ এস
Leave a Reply