1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

কৃষি কর্মকর্তার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান, পূরণ হবে সবজি ও ফলের চাহিদা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮৮ বার পাঠ করা হয়েছে
-রানীপুকুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে সবজি ও ফলের চারার পাশে একটি পরিবার

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম। তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে অফিসিয়াল রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের কৃষিতে সম্পৃক্ত করে আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সবজি ও ফলের চাহিদা পূরণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৯টি পরিবারকে দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন সবজি ও ফলের চারা বিতরণ শেষে এই উদ্যোগের কথা জানান উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান হেকিম।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার নয়াপাড়া (বুড়াপুকুর) আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৯ টি পরিবার বসবাস করেন। দারিদ্র্যতার কষাঘাতে নিত্যদিনের বাজার-সদাই সহ পর্যাপ্ত পুষ্টিহীনতায় ভোগেন এখানকার জনসাধারণ। সেখানে বসবাসকারীরা দিনমজুর, ভ্যানচালক, রিকশা চালক এবং লেবার শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এসব হতদরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যক্তিগতভাবে কৃষিতে সম্পৃক্তকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান হেকিম। ইতিমধ্যে উদ্যোগটি সাড়া ফেলেছে। সচেতন মহলের কাছেও গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে তার এই ব্যতিক্রমী কৃষিবিপ্লব। জানা গেছে, উপজেলার ডাবরা, জায়গীরহাট, গোপালপুর, মাসিমপুরসহ ৫ টি আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৭’শ পরিবারকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিসারের নিজেস্ব অর্থায়নে নেওয়া এই উদ্যোগে ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি পরিবারের বাড়ির আঙ্গিনা ও ঘরের পাশে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ শোভা পাচ্ছে। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে এসব সবজি ও ফলের গাছে উৎপাদন শুরু হবে। এই উৎপাদিত সবজি ও ফল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরন করার পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও বাড়াতে সহায়ক হবে।

নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা পেশায় ভ্যানচালক নুরন্নবী মিয়া, অটোচালক মাজেদুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, আমরা সারাদিন কাজকর্ম নিয়ে বাইরে থাকি। গরীব মানুষ জমাজমি নাই। বাড়ির পাশে জায়গা ছোট্ট হলেও বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ লাগাতে পেরেছি। এসব কখনো কল্পনাও করি নাই। কোন টাকাপয়সা ছাড়া আমাদের যেভাবে বুঝিয়ে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। এখন বুঝতে পারছি আর কয়েকদিন গেলেই আর সবজি কিনতে হবেনা। আমাদের অনেক উপকার হবে।

উপসহকারী কৃষি অফিসার মুশফিকুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসার স্যার মিঠাপুকুরে যোগদান করেই কিছু মানবিক কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আমি অবহেলিত এই জনগণের কথা জানালে স্যার উদ্যোগ নেন এবং আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে কাজ করি। এখন ৪৯টি পরিবারের ঘরের পাশে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ শোভা পাচ্ছে যা দেখতেও সুন্দর লাগছে।

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান হেকিম বলেন, আমি গত আগস্ট মাসে মিঠাপুকুরে যোগদান কারার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেই। মূলত সেই ধারণা থেকেই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে চারাগুলো দিয়েছি। এ পর্যন্ত ৫টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় ৭’শ পরিবার পুষ্টি বাগান করেছেন। আশাকরি আগামী মাসের মধ্যে সেখান থেকে সবজি উৎপাদন হবে। স্বল্প পরিসরে হলেও এভাবেই সবাই কৃষিতে সম্পৃক্ত হলে। সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও স্বচ্ছল হওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com