1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেতু আছে, সড়ক নেই: বাঁশের মইয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ হাজার মানুষ মিঠাপুকুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক আত্মগোপনে স্বামী, পুত্রবধূকে ঘর ছাড়া করতে শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উত্তরের নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি-সতর্কতা জারি রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের শিশু খুন রংপুর সহ ৪৮ জেলায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দেওয়া হবে দৈনিক ভাতা মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের সিন্ডিকেট, এবার নবজাতকের মৃত্যু! মিঠাপুকুরের ঐতিহাসিক পুকুরটি লিজ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা, কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

সৌদির খেজুর খেয়ে বীজ পুতে এখন নিজের খেজুরবাগান

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২৪১ বার পাঠ করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ
সৌদির খেজুর খেয়ে শখের বসে কয়েকটি বীজ মাটিতে পুতে রাখেন নুশরাত জাহান লিজা। সৌদি থেকে আনা সেই খেজুরের বীজ বদলে দিয়েছে লিজার জীবন। শখের বসে রোপন করা বীজ এখন রূপ নিয়েছে একটি খেজুরবাগানে। সেখানে ফল ধরেছে, চারাও তৈরি হচ্ছে।

ঘটনাটি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী নুসরাত জাহান এখন শখের খেজুরবাগানের সফল চাষি। এক বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই খেজুরবাগান।

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নুসরাত তখন অনেক ছোট। তাঁদের প্রতিবেশী চাচা গোলাম হোসেন ও আবদুল মজিদ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা খেজুর এনে দেন নুসরাতদের পরিবারের জন্য। সেই খেজুর খেয়ে নুসরাত বীজগুলো মাটিতে পুঁতে দেন। কিছুদিন পর চারা গজায়। গাছ বড় হতে দেখে নুসরাতের মাথায় চিন্তা আসে, কীভাবে গাছগুলো বাঁচানো যায়। এরপর ইউটিউবে গাছ পরিচর্যা ও বাগান তৈরির বিষয়ে ধারণা নিতে শুরু করেন তিনি।

নুসরাত বলেন, ‘আমি একটু একটু করে ইউটিউব থেকে শেখা ধারণা অনুযায়ী বাড়ির উঠানে গাছগুলোর পরিচর্যা করতে থাকি। পরে উঠান-সংলগ্ন মাঠে গাছগুলো বাগানে রূপ নেয়। এখন সেখানে ৫০ থেকে ৬০টি খেজুরগাছ আছে। আবার প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে নতুন চারা (স্থানীয় ভাষায় বোগ) তৈরি হচ্ছে।

তিনি জানান, গাছে এখন সুমিষ্ট খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো হলুদ থেকে ধীরে ধীরে লাল রং ধারণ করছে। এখনই খেতে খুব মিষ্টি স্বাদের। তাঁর বাগানে আমবার, আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুর আছে।

তিনি আরও বলেন, বাগানে এখন সাফল্য আসতে শুরু করেছে। খেজুরগাছের গোড়া থেকে উৎপন্ন চারাগুলো পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুরের বীজ থেকে উৎপন্ন চারা বিক্রি করেছেন ৫০০ টাকায়। সুস্বাদু খেজুর বাজারেও ভালো দামে বিক্রি হবে বলে আশা করেন তিনি।

নুসরাতের মা লামিয়া বেগম বলেন, এখন পরিবারের সবার একটা কাজ হলো বাগান পরিচর্যা করা। তিনি নিজেও গৃহস্থালির কাজ শেষে বাগানে সময় দেন। এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে কিছু খেজুর ঝরে যাচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি বাগানটি দেখেছি, সঠিকভাবে পরিচর্যা করা গেলে ভালো ফল আসার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব।

এম কন্ঠ/এস/২০২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com