1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেতু আছে, সড়ক নেই: বাঁশের মইয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ হাজার মানুষ মিঠাপুকুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক আত্মগোপনে স্বামী, পুত্রবধূকে ঘর ছাড়া করতে শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উত্তরের নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি-সতর্কতা জারি রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের শিশু খুন রংপুর সহ ৪৮ জেলায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দেওয়া হবে দৈনিক ভাতা মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের সিন্ডিকেট, এবার নবজাতকের মৃত্যু! মিঠাপুকুরের ঐতিহাসিক পুকুরটি লিজ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা, কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

জরাজীর্ণ ঘরে জীবনযুদ্ধ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সুবিধা বঞ্চিত আবাসনের বাসিন্দারা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ১১৯ বার পাঠ করা হয়েছে
-রানীপুকুর আবাসনে এমন জরাজীর্ণ ঘরে বাস করেন শ্রমজীবিরা

আমিরুল কবির সুজন.মিঠাপুকুর।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বৃষ্টি হলেই পলিথিন মুড়িয়ে রাত পার করেন এখানকার বাসিন্দারা।

২০০২ সালে বিএনপি সরকার আবাসনের ঘরগুলো নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করেন। তারপর দীর্ঘ ২৩ বছরে আর কোন সংস্কার কাজ হয়নি। এরফলে ভাঙ্গাচোড়া ঘরে কোন রকমে দিনযাপন করছেন এখানকার মানুষজন। স্থানীয়দের মতে বিএনপি সরকার ঘরগুলো নির্মাণ করায় বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ঘরগুলো সংস্কারের ছোঁয়া পায়নি। ফলে আবাসনের বাসিন্দারা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নে ৩৮টি আবাসনের ব্যারাক রয়েছে। ব্যারাকের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে ৩৮০ টি পরিবার বসবাস করছেন।

                                           -ঘরের টিন নষ্ট হয়ে ফাকা পড়ে আছে।

আবাসন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘরই জরাজীর্ণ। টিনফুটো, ঘরের ছাউনি ভাঙ্গা, দরজা নেই, টয়লেট ভাঙ্গা, পানির জন্য প্রয়োজনীয় টিউবওয়েল নেই। অনেকেই টিনশেড ঘরগুলোর ওপরে পলিথিন বা ট্রিপল দিয়েছেন। তবুও বৃষ্টি হলে রক্ষা মেলে না এখানকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টির পানি ভেতরে পড়ে ভিজে যায় ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্র। বেশি বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো পানিতে টইটুম্বুরও হয়ে যায়।

আবাসনের বাসিন্দা আনিছুর রহমান বলেন, সবাই আইসে আর ছবি তুলি নিয়া যায়, কিন্তুক হামার ঘরের টিন নাগায় না। ঝড়ি আসলে হামার ঘুম হয়না বাবা। কেউ হামার খবর নেয় না।

আরেক বাসিন্দা গোলসেনারা বেগম বলেন, বিএনপির সময় ঘর পাছি, তারপর আর কেউ খবর নেয় নাই। ঘর সরকারের, জমি সরকারের। ধারদেনা করি যে ঘরগুলা ঠিক করমো তাও পারিনা। হমার পাকে কেউ দেখেনা বাবা।

                          -টয়লেটের দরজা নেই, ছবিতে ভাঙ্গা টয়লেট দেখা যাচ্ছে।

আরেক বয়োবৃদ্ধা করিমন্নেছা বেগম বলেন, বেশি বৃষ্টি হইলে ঘরের কোনায় বা চকির নিচে থাকতে হয়। কখন বৃষ্টি কমবে সেই আশায় পলিথিন মুড়িয়ে বসে থাকি, এটা কোন জীবন। ঘরের বেড়ার টিনগুলোও এখন মরীচিকা ধরে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এখন ঘরগুলো মেরামতের অবস্থায় নেই। তাই এই আবাসনের ঘরগুলো পুনঃনির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

রানীপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ পুটু বলেন, আবাসনের বাসিন্দারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বৃষ্টির সময় তাদের দুর্ভোগ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। উপজেলা মাসিক সভায় বিষয়টা আমি কয়েকবার তুলে ধরেছি কিন্তু কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খুব শিঘ্রই এখানকার ঘর ও রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে এ প্রকল্পগুলোর কোন কাজ হচ্ছে না। নতুন করে প্রকল্প আসলে এগুলো সংস্কার কিংবা নতুন ঘর নির্মাণ করা সম্ভব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুলতামিস বিল্লাহ বলেন, আবাসনের ঘরগুলো সংস্কার বা পূর্ণনির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে কাজ করা সম্ভব হবে। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে অবগত করা হবে।

এম কন্ঠ/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com