স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ডাক্তার সেজে লাশের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান (৩৮) নামের এক দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।আটক মেহেদী রংপুর নগরীর রেলওয়ে কলোনি এলাকার মৃত আবু জাফর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার গবরধন এলাকার মোসলেম উদ্দিন জমিসংক্রান্ত বিরোধে নিহত হন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সময় মেহেদী নামের এক দালাল নিহতের স্বজনদের কাছে যান। তিনি দ্রুত ময়নাতদন্তের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী কেনার কথা বলে নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হলে পরিবারের এক সদস্য পুলিশকে খবর দেয়। পরে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মেহেদীকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের ভাতিজা আপেল মাহমুদ বলেন, ‘মেহেদী আমাদের কাছে এসে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তিনি দ্রুত ময়নাতদন্ত করানোর কথা বলে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করেছে। ইতিমধ্যে তিনি ৭ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।’
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা কখনো ডাক্তার, কখনো হাসপাতালের কর্মচারী সেজে রোগীর স্বজনদের হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশ মেহেদীকে আটক করায় সাধারণ মানুষ সাময়িক স্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা হাসপাতাল এলাকা থেকে দালালচক্র নির্মূলের জোর দাবি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘মেহেদী দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে রোগী ও স্বজনদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন। আজও তিনি একই কৌশলে টাকা নেওয়ার সময় ধরা পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এম কন্ঠ/এস
Leave a Reply