অনলাইন ডেস্ক:
উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এই বৃষ্টিপাত আগামী বুধবার ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে উত্তরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হয়েছে।
পাউবোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার (গতকাল) সকাল ৯টা থেকে আগামী বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দন্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেওয়া, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি থাকার জায়গা পরিষ্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেওয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী তিনদিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পারে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply