শনিবার , ৮ মার্চ ২০২৫ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলামিক কন্ঠ
  3. কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ
  4. গ্যাজেট
  5. জব ও ক্যারিয়ার
  6. জাতীয়
  7. তারুণ্যের গল্প
  8. পাঠকের কন্ঠ
  9. প্রযুক্তি কন্ঠ
  10. প্রিয় মিঠাপুকুর
  11. ফ্যাক্টচেক
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. মাঠে ময়দানে
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

ইতিহাসের স্বাক্ষী মিঠাপুকুর মসজিদ

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
মার্চ ৮, ২০২৫ ৭:০৩ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে আধা মাইল উত্তর-পশ্চিমে রংপুর ও বগুড়া মহাসড়কের গড়েরমাথা নামক স্থান থেকে একটু দূরে মসজিদটি অবস্থিত।

দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে মোগল আমলের শেষ সময় ১৮১১ সালে। প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম এক নিদর্শন। মসজিদের প্রবেশদ্বারে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৮১১ সালে শেখ মোহাম্মদ মোয়াজ্জম নামক একজন ধার্মিক ব্যবসায়ীর নাতি শেখ মুহাম্মদ আসিন নির্মাণ করেন এই মসজিদ।

মসজিদের চারপাশে রয়েছে পুরোনো ইটে নির্মিত সীমানাপ্রাচীর। মসজিদ আঙিনায় প্রবেশ করতে হলে আশ্রয় নিতে হয় দৃষ্টিনন্দন মাঝারি আকৃতির গেটের। আঙিনাটা ইটের ঢালাই দিয়ে মজবুতভাবে বানানো হয়েছে। সামনে খোলা ছোট্ট একটি আঙিনা। দেয়ালজুড়ে পোড়ামাটির আস্তরণ। জীর্ণশীর্ণ হয়ে খসে পড়েছে কয়েক জায়গায়। গম্বুজগুলোও ধসে পড়ার উপক্রম। দেয়ালজুড়ে বিভিন্ন নান্দনিক কারুকার্য। মসজিদের ভেতরে মাত্র দুই কাতার পরিমাণ জায়গা। ছোট হলেও নান্দনিক নকশায় সুশোভিত। ওপরে চার কোনায় রয়েছে আট কোনা আকারে নির্মিত চারটি মিনার। এগুলো ছাদের কিছু ওপরে ওঠে গম্বুজ আকৃতিতে শেষ হয়েছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে কারুকার্যখচিত তিনটি দরজা। মাঝের দরজার দুই পাশের পিলারের ওপরেও আছে ছোট ছোট দুটি মিনার। সামনের অংশে পোড়ামাটির কারুকার্য মসজিদটিকে আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। মসজিদের ভেতরে সামনের দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব।

চারপাশের কৃষিজমি বেষ্টিত মসজিদটি অনন্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরের দেয়ালেও রয়েছে কারুকাজের ছাপ। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো সুবিশাল তিনটি গম্বুজ। গোলাকার গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত মসজিদের প্রথম দরজা স্থানীয় সংস্কৃতির আদলে নির্মিত হয়েছে। গম্বুজগুলো সুন্দর প্যানেল, লতাপাতা, ফুল, জ্যামিতিক আকারের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নির্মাণ করা হয়েছে। দেখতে ড্রামস এবং দেয়ালের শিলালিপির মতো।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি প্রাচীনকাল থেকে মিঠাপুকুরকে ইসলামি জনপদ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। আর এই ঐতিহাসিক মসজিদকে ঘিরে প্রতিদিনই দর্শনার্থী ও পর্যটকের আগমন ঘটছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শকরা মসজিদ ও আশপাশের গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

মিঠাপুকুরের কন্ঠ/এস/মার্চ-২০২৫

সর্বশেষ - কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ