মঙ্গলবার , ২৪ জুন ২০২৫ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলামিক কন্ঠ
  3. কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ
  4. জব ও ক্যারিয়ার
  5. জাতীয়
  6. পাঠকের কন্ঠ
  7. প্রযুক্তি কন্ঠ
  8. প্রিয় মিঠাপুকুর
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. মাঠে ময়দানে
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সম্পাদকীয়
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

চার লেন মহাসড়ক_মিঠাপুকুর অংশের ৫ কিলোমিটারে ৩ টি মরন ফাঁদ

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
জুন ২৪, ২০২৫ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ৩টি স্থান যেনো মরণফাঁদ! এসব স্থানে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ।

গত এক মাসে এসব স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৭ জনের প্রাণ গেছে। জনসাধারণ এবং সংশ্লিষ্ট সুত্রের মতে সাসেক প্রকল্পের আওতায় রংপুর-ঢাকা চার লেন মহাসড়ক নির্মাণে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে নানান প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দূর্ঘটনা বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সরেজমিনে মিঠাপুকুর গড়ের মাথা থেকে শঠিবাড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে ৩ টি স্থান ঝুকিপূর্ণ লক্ষ্য করা গেছে। ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো হলো, গড়েরমাথা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন বৈরাতি রোড মোড় এবং শঠিবাড়িহাট এলাকা।

#গড়ের মাথা
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ এবং থানা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে গড়েরমাথা নামক স্থান। এখানে চৌরাস্তা রয়েছে। পশ্চিম দিক থেকে দিনাজপুর ফুলবাড়ি কয়লাখনির সড়ক, পূর্ব দিক থেকে বালারহাট এলাকার সড়ক এসে গড়েরমাথা নামক স্থানে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে চৌরাস্তায় রুপ নিয়েছে এই স্থানটি। অথচ এখানে কোন ফ্রাইওভার বা ওভারপাস নির্মাণ করা হয়নি। এমনি নির্দিষ্টভাবে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যেকোন যানবাহন চালকের বোঝার উপায় নেই সামনে চৌরাস্তা সংযোগ রয়েছে। এরফলে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দূর্ঘটনা।

#ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন বৈরাতী রোড
মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়ন থেকে মিলনপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। গত প্রায় দুই বছর আগে নির্মিত রাস্তাটি শঠিবাড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে এখানে কোন ওভারপাস করা হয়নি। এরফলে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে মিলনপুর রোডে উঠতে হয় যানবাহন নিয়ে। এছাড়াও রংপুর থেকে আসা কোন যাত্রী বা যানবাহন মিলনপুর ইউনিয়নের এই রোডে যেতে চাইলে দেড় কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। সড়কের মাঝখানে বড় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে দুই ভাগে বিভক্ত থাকায় অনেকেই ট্রাফিক আইন মানছেন না ফলে দ্রুতগামী যানবাহনের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি পঙ্গুত্ব বরনের মতো ঘটনাও ঘটছে।

#উত্তরের সবচেয়ে বড় হাট শঠিবাড়ি
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় হাট শঠিবাড়ি। এই হাটকে মিঠাপুকুরের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবেই জানেন জনসাধারণ। কিন্তু রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ঐতিহ্যবাহী এই বাজারকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে।নবনির্মিত রাস্তার মাঝখানে ইটের বড় দেয়াল এই বিভক্ত তৈরি করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার পাশাপাশি এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হারিয়েছে।

এখানে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার না থাকায় প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাটিতে ব্যাংক,বীমা, সরকারি অফিস , মার্কেট ও ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সড়কের মাঝখানে নির্মিত কংক্রিটের দেয়াল পারাপারের কোনো সেতুবন্ধন না থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যস্ততম এই হাট এলাকায় প্রতিনিয়ত ভিড় থাকে সাধারণ মানুষ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের। অথচ এখানে কোনো ফুটওভার ব্রিজ বা কার্যকর আন্ডারপাস নেই। ফলে গত একমাসে অন্তত ৭ জন পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।

#জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের দাবি

শঠিবাড়ি হাটের ব্যবসায়ী শেখ সাদী, লালন ও রায়হান প্রধান সহ অনেকেই জানান, কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে কিন্তু রাস্তা পারাপারে কোন নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অথবা দেয়াল টপকে মানুষজন রাস্তা পার হয়।শঠিবাড়ি স্কুলের সামনে একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলেও সেটি ব্যবহারযোগ্য নয় বলে দাবি তাদের। তারা জানান, আন্ডারপাসটি এমন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। নির্জন ও অনুপযুক্ত স্থানে , সেখান দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। ফলে আন্ডারপাসটি কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এই এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ অথবা আন্ডারপাস নির্মাণ করা হোক, যাতে জনগণের জীবন ও জীবিকা নিরাপদ থাকে। নিরাপদ ও পরিকল্পিত যোগাযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে প্রায় একই কথা জানান গড়ের মাথা ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন বৈরাতী রোড এলাকার জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ - জাতীয়