মঙ্গলবার , ২৪ জুন ২০২৫ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইসলামিক কন্ঠ
  3. কৃষি ও কৃষকের কন্ঠ
  4. জব ও ক্যারিয়ার
  5. জাতীয়
  6. পাঠকের কন্ঠ
  7. প্রযুক্তি কন্ঠ
  8. প্রিয় মিঠাপুকুর
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ সংবাদ
  11. মাঠে ময়দানে
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সম্পাদকীয়
আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও তথ্য দিতে মিস কল দিন ০১৭১৩-৮৯৩৪৭৩

সাংবাদিককে হাঁটু ভেঙে দেওয়ার হুমকি, সেই অধ্যক্ষকে বরখাস্ত

প্রতিবেদক
মিঠাপুকুরের কন্ঠ
জুন ২৪, ২০২৫ ৫:২১ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:
সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক সাংবাদিককে হাঁটু ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকিদাতা অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) খাদিজা বেগমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. এরপর থেকে পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। ২৩/০৬/২০২৫ তারিখের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলমকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এর পরিবর্তে একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক মো. রাজ্জাকুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।’

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল ‘চুক্তিতে নকল সরবরাহের প্রতিযোগিতা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে’ শিরোনামে আমাদের সময় পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয় মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলমের ছত্রছায়ায় আর্থিক চুক্তিতে নকল সরবরাহের প্রতিযোগিতা চলছে।

এই সংবাদ প্রকাশের পর আমাদের সময়ের রংপুর প্রতিনিধি খন্দকার রাকিবুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে হাঁটু ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দেন অধ্যক্ষ মো. মাহেদুল আলম। হুমকির কলরেকর্ড বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এরপর, গত ৭ মে ঢাকা পোস্ট ‘সেই অধ্যক্ষের বিএড সনদ ভুয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ভুয়া বিএড সনদে প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতার হস্তক্ষেপে অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়াসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ প্রতিবেদনে উঠে আসে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তদন্ত শুরুর পরেই তার অপসারণের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অধ্যক্ষ মাহেদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এম কন্ঠ/এস

সর্বশেষ - জাতীয়