1. mithapukur24barta@gmail.com : Mithapukur : Mithapukur
  2. admin@mithapukurerkantho.com : মিঠাপুকুরের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সেতু আছে, সড়ক নেই: বাঁশের মইয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২০ হাজার মানুষ মিঠাপুকুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক আত্মগোপনে স্বামী, পুত্রবধূকে ঘর ছাড়া করতে শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উত্তরের নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার পদধ্বনি-সতর্কতা জারি রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের শিশু খুন রংপুর সহ ৪৮ জেলায় বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দেওয়া হবে দৈনিক ভাতা মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের সিন্ডিকেট, এবার নবজাতকের মৃত্যু! মিঠাপুকুরের ঐতিহাসিক পুকুরটি লিজ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা, কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

এমএ ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী মিঠাপুকুরের তৃতীয় লিঙ্গের মাহি

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮৭ বার পাঠ করা হয়েছে
-রবিউল ইসলাম মাহি

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের সন্তান রবিউল ইসলাম মাহি। ২৭ বছর বয়সী তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মাহি। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে মাস্টার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তার পরীক্ষার কেন্দ্র রংপুর সরকারি কলেজে।

বড় রবিউল ইসলাম মাহি ৭ বছর বয়সে বুঝতে পারেন অন্যদের থেকে তিনি আলাদা। তখনই তিনি খালাশপীরহাটে চলে যান। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি পীরগঞ্জের খালাশপীর হাটে হিজড়া সর্দার সাইফুল ইসলাম স্মৃতির সাথে বসবাস করছেন। সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের অর্ধ শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

রবিউল ইসলাম মাহি মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি, ২০১৫ সালে ছড়ান দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি, ২০১৭ সালে কেশবপুর টেকনিকেল এন্ড বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০২০ সালে খালাসপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসএস পাশ করেন। এরপর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে এমএ ১ম বর্ষে ভর্তি হন এবং এমএ ১ম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন।
পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি অন্যের উপকারসহ ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক কাজ করেন বলে জানা গেছে।

২০১৯ সালে তাকে সরকারিভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তাকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং ভাতাভোগী করা হয়। তিনি ব্লাড ডোনেশন সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।

মাহি বলেন, আমি মাস্টার্স শেষে পরিবার পরিকল্পনা বা সমাজ সেবা বিভাগে সরকারি চাকরি করে মানুষের সেবা করতে চাই। কারণ আমি তো বিয়েও করতে পারবো না। আমরা প্রতিটি পদেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমার জীবনের কোন পিছুটান নেই। আমি গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনা টাকায় ব্লাড ম্যানেজ করে দেই এবং আমিও ব্লাড দেই। এছাড়াও মসজিদ ও মাঠ উন্নয়ন, ওয়াজ মাহফিল পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানেও আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করি। আমি ভূমিহীন।

এম কন্ঠ/এস

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © mithapukurerkantho.com